বাংলাদেশে এক মাস পার হওয়ার আগেই আবার খুচরা এবং পাইকারি বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর ঘোষণা দিয়েছে সরকার। ফলে ফেব্রুয়ারিতে আরেক দফা সব ধরনের গ্রাহকের বিদ্যুতের দাম বাড়তে যাচ্ছে।
পহেলা ফেব্রুয়ারি থেকে নতুন মূল্য কার্যকর হবে।
এর আগে জানুয়ারি মাসের ১২ তারিখে খুচরা ও পাইকারি পর্যায়ে বিদ্যুতের দাম পাঁচ শতাংশ বাড়িয়েছিল সরকার।
নতুন ঘোষণায় ফেব্রুয়ারি মাসেও আবাসিক এবং শিল্প-কলকারখানায় বিদ্যুতের দাম বাড়ছে অন্তত পাঁচ শতাংশ। আর পাইকারিতে বিতরণ কোম্পানিগুলোর জন্য বিদ্যুতের দাম বাড়ছে অন্তত আট শতাংশ।
সরকার এর আগেই আভাস দিয়েছিল যে, এখন থেকে প্রতিমাসেই বিদ্যুৎ ও গ্যাসের মূল্য সমন্বয় হতে পারে। পাশাপাশি বিশ্ববাজারের সাথে মিল রেখে জ্বালানি তেলের দামও সমন্বয়ের একটি প্রক্রিয়া চলছে।
সাধারণত গণশুনানির পর বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন বিদ্যুতের নতুন মূল্য নির্ধারণ করে থাকে। কিন্তু পহেলা ডিসেম্বর থেকে সেই আইনে সংশোধন এনেছে।
এরপর বিদ্যুতের দামের পর শিল্প, বিদ্যুৎ উৎপাদন এবং বাণিজ্যিক খাতে গ্যাসের দামও বাড়ানো হয়েছে।
গ্যাসের পর এবার সরকারের নির্বাহী আদেশে বিদ্যুতের দাম বাড়ানো হলো। ৩০শে জানুয়ারি এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।
সরকারের প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, ভর্তুকি সমন্বয়ের জন্য বিদ্যুতের এই দাম বাড়ানো হয়েছে।
এর আগে নভেম্বর মাসেও বিদ্যুতের পাইকারি পর্যায়ে দাম বাড়ানো হয়েছিল, যা ডিসেম্বর মাস থেকে কার্যকর হয়েছে।
এরপরে খুচরা পর্যায়েও দাম বাড়ানোর জন্য আবেদন করেছিল বিতরণ কোম্পানিগুলো। সেই আবেদনের ওপরে আটই জানুয়ারি শুনানি করেছিল বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন-বিইআরসি।
কিন্তু বিইআরসি সিদ্ধান্ত জানানোর আগেই সরকারের নির্বাহী আদেশে জানুয়ারিতে বিদ্যুতের দাম বাড়ানো হয়েছিল। ১৯ দিনের ব্যবধানে দ্বিতীয়বারের মতো দাম বাড়াল সরকার। তথ্য সূত্র বিবিসি বাংলা।