আমেরিকান বাহিনী এবং এশিয়ায় তাদের মিত্ররা বছরের পর বছর যৌথ যুদ্ধ মহড়ার পর যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত। যুক্তরাষ্ট্রের একজন জেনারেল বুধবার একথা বলেন। তিনি আরও বলেন, ইউক্রেনে রাশিয়ার বিপর্যয় চীন এবং উত্তর কোরিয়ার মতো সম্ভাব্য এশীয় আগ্রাসীদের জন্য সতর্কতা হিসেবে কাজ করবে।
যদিও এশিয়ায় নেটোর বিপরীতে কোনো সংগঠন নেই , যুক্তরাষ্ট্রের চুক্তি জোটের একটি নেটওয়ার্ক এবং আন্তর্জাতিক শৃঙ্খলা বজায় রাখার প্রতিরক্ষা অংশীদারিত্ব একটি আঞ্চলিক সুরক্ষা প্রদান করে বলে জানান তিনি। নেটো ৩০টি রাষ্ট্রের একটি সামরিক জোট যেখানে বেশিরভাগ ইউরোপীয় সদস্যরা বহিরাগত আক্রমণের বিরুদ্ধে একে অপরকে রক্ষা করার অঙ্গীকার করে।
গত সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী লয়েড অস্টিনের ম্যানিলা সফরের সময় আমেরিকার বৃহত্তর সামরিক উপস্থিতির অনুমোদন দেয়ার ফিলিপাইনের যে সিদ্ধান্ত তা ঘোষণা করা হয়েছিল।
বৃহত্তর এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে ,চীন এবং উত্তর কোরিয়ার ক্রমবর্ধমান হুমকির মোকাবিলা করার জন্য ওয়াশিংটন জোটের একটি বৃহত্তর পরিধি শক্তিশালী করেছে।
রায়ান বলেন,যুদ্ধ-প্রস্তুতি অনুশীলন আশা করি সম্ভাব্য আক্রমণকারীদেরকে দুবার ভাবতে বাধ্য করবে।
ফিলিপাইনের সামরিক কর্মকর্তাদের মতে, যুক্তরাষ্ট্র এবং ফিলিপাইন ২০২৩ সালে ৫০০টি ছোট এবং বড় আকারের মহড়া করতে এবং দুই বছরের করোনা ভাইরাস লকডাউনের কারণে সৃষ্ট বাধার পরে বার্ষিক সামরিক মহড়া সম্প্রসারণ করতে সম্মত হয়েছে।
যদিও সামরিক কমান্ডাররা বলছেন, যৌথ মহড়াগুলো কোনো নির্দিষ্ট দেশের বিরুদ্ধে পরিচালিত করা হচ্ছে না, রায়ান বলেছেন, চীনের ক্রমবর্ধমান আক্রমণাত্মক পদক্ষেপ একটি উদ্বেগজনক বাস্তবতা ছিল যার জন্য এই অঞ্চলের প্রস্তুত হওয়া উচিত। তথ্য সূত্র ভয়েস অফ আমেরিকা বাংলা।